কাঞ্চনজঙ্ঘা- সৌরভ রায়

শেয়ার করুন
সকাল ৮.১৯ এ ঘুম থেকে উঠি। তো প্রতিদিনের মতোই আজও উঠেছি। উঠার পর ফ্রেশ হইলাম। এরি মধ্যে মা ডাক দিলো খাওয়ার জন্য। খাওয়া করে আবারো আমার রুম এ আসলাম।
শুয়ে শুয়ে ফোন চাপতেছিলাম। এমন সময় বাবা ডাক দিল। ডাক দিয়ে বলল গরুকে পানি দিতে (আমি মাঝে মাঝেই বাবা-মা কে সাহায্য করতে ভালোবাসি)। তো আমি পানি দিতেছি। এমন সময় দেখলাম যে, উত্তর আকাশে মেঘের মতো কি যেন দেখা যাচ্ছে। আমি তেমন পাত্তা দিলাম না।
এবার পানি দেওয়া শেষ। পানি দেওয়া হয়ে গেলে একটু আগায়ে গিয়ে দেখলাম। আমি সত্যি নিজের চোখকে বিশ্বাস করাতে পারছিলাম না। আমাদের বাসা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যাবে এটা কখনো ভাবি নি।কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতেছি আর ছবি তুলবো না এটা কি করে হয়। আমিও ক্যামেরা আনতে গেলাম রুমের ভিতর। পরে ক্যামেরা চালু করে দেখলাম ব্যাটারিতে একটুকুও চার্জ নেই, হয়ে গেল মনটা খারাপ।
পরে ব্যাটারি চার্জ দিয়ে ছোট বোনকে ডাক দিলাম। আর বললাম যে পাহাড় দেখবি? ছোট বোন বলে যে কথায় পাহাড়? আমি বললাম যে, চল দেখবি তা। পরে আমি আর ছোটবোন বাইরে গেলাম। ওকে দেখাইলাম। সত্যি বলতে ও এতোটাই খুশি হয়েছে যে, বুঝানো যাবে না।
যাই হোক, তারপর ব্যাটারি আনলাম (২৪ মিনিট পর) পরে ছবি তুললাম,,। (আরো অনেক কাহিনি, আরেকদিন বলবো)
প্রিয় পাঠক, শীতপ্রবণ আমাদের পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে দেখা যাচ্ছে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতমালা হিমালয় ও কাঞ্চনজঙ্ঘা। আপনার তোলা কাঞ্চনজঙ্ঘার দুর্লভ চিত্রসহ লিখে আমাদের পাঠাতে পারেন। আমরা আপনার নামসহ যথারীতি তা প্রকাশ করব। পঞ্চগড় ভ্রমণ গাইডে লেখা পাঠাতে ইচ্ছুক যে কেউ panchagarhonline@gmail.com এই ঠিকানায় অথবা আমাদের ফেসবুক পেজে ম্যাসেজে নিজের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার দিয়ে লেখা পাঠাতে পারেন।